রেশনে আটা ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে তুমুল উত্তেজনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্ৰামে , ঘটনাস্থলে পুলিশ

7th April 2020 বর্ধমান
রেশনে আটা ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে তুমুল উত্তেজনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্ৰামে , ঘটনাস্থলে পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( আউশগ্ৰাম ) : রেশনে আটা ওজনে কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো আউশগ্রামের ধারাপাড়ায় এক রেশনদোকানে।  ঘটনার সময় ভিড়ভাট্টা হালকা করতে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করছিলেন পুলিশের ভাড়া করা গাড়ির এক চালক। তাঁকে ঘিরে ধরে চড়থাপ্পর মারতে শুরু করেন উত্তেজিত জনতা। তিনি গাড়িতে উঠে কোনওরকমে নিজেকে রক্ষা করেন।  মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষে গুসকরা ফাঁড়ি থেকে আরও পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রেশনডিলার স্বীকার করে নেন প্যাকেটে আটা কম থাকার কথা এবং ভুলবশত ওজনে কম হয়ে গিয়েছে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন। পরে পাওনা মিটিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন রেশন ডিলার। তারপর গ্রহকরা শান্ত হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে 
ধাড়াপাড়া এলাকায় এক ডিলারের কাছে দ্বারিয়াপুর, লক্ষীগঞ্জ, গোপীনাথবাটি, সুকান্তপল্লি প্রভৃতি গ্রামসহ প্রায় ৮০০০ গ্রাহক রেশন তোলেন। তিনচারদিন ধরে বিনামূল্যে চাল,আটা,গম,চিনি বিতরণ হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেও গ্রাহকদের লাইন দিয়ে রেশন নিচ্ছিল এই দোকানে। সকাল ১১ টা নাগাদ কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ তোলেন আটা ওজনে কম পাচ্ছেন।স্থানীয় গ্রাহক রোহন ব্যানার্জ্জী, গনেশ আঁকুড়ে বলেন, আমাদের যে আটার প্যাকেট এক কেজি হিসাবে দেওয়া হচ্ছে তাতে ৯৫০ গ্রাম করে আটা রয়েছে। এটা দেখার পর কয়েকজন গ্রাহক নায্য ওজনের মাল দাবি করেন।  জানা গিয়েছে তর্কবিতর্ক  শুরু হওয়ার পরেই  গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশের টহলদারি ভ্যানটি প্রথমে উত্তেজনার খবর পেয়ে পৌছায়। পুলিশকর্মীরা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করে।সেই সময় পুলিশের গাড়িচালক একটি লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে সরিয়ে ভিড় হাল্কা করতে চেষ্টা করছিলেন। তখন উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িচালক সেলিম শেখকে মারধর ও ঠেলাঠেলি শুরু করে। যদিও কিছুক্ষনের মধ্যেই আরও পুলিশবাহিনী চলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রেশন ডিলারের ছেলে সুব্রত কোঁনার  বলেন, " আটার প্যাকেটে ৫০ গ্রাম করে ওজনে কম ছিল কর্মচারীরা বুঝতে পারেনি। যারা কম পেয়েছেন পরে সব মিটিয়ে দেওয়া হবে।"  পুলিশ জানায় এনিয়ে বিকেল পর্যন্ত নিদিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।